Jewel
Ma tumi amar age
Monday, March 16, 2009
Wednesday, March 11, 2009
Jewel Wins

হতে পারেন বাবা জালালউদ্দিন একজন নির্মাণ শ্রমিক। তাই বলে কি তার স্বপ্ন বা কল্পনা আকাশ ছোঁবে না? আপন অস্তিত্বের অংশ তার সন্তানকে রাজপুত্র-রাজকন্যারূপে কল্পনা করাটা কি নিছক পাগলামি? হয় তো না। কিন্তু বাস্তব যখন কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যায় তখনও কি নীরবতায় সবকিছুকে পাশ কাটানো যায়? যায় না, কেন? তার প্রমাণ মিলবে যদি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের বাড়া গ্রামে যান। গেলে দেখবেন এই গ্রামবাসী এখন উল্লাস উন্মত্ততায় জোয়ার জলের মতো ভেসে বেড়াচ্ছেন। কারণ এই গ্রামের কৃতী সন্তান জুয়েল রানা আজ একুশ শতকের প্রথম ক্ষুদে গানরাজের স্বীকৃতি পেয়েছে। কেবল এ গ্রামই নয় জুয়েল রানার বর্তমান নিবাস গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার সংলগ্ন এলাকার প্রতিটি মানুষের মুখেই এখন উচ্ছল আনন্দের ফোয়ারা। এর বাইরেও সারাদেশে চলছে প্রতিযোগিতার দর্শকের জুয়েল রানার বিজয়ী হওয়ার আনন্দ। দেশজুড়ে যখন জুয়েল রানাকে নিয়ে এতটা তোলপাড় চলছে, তখনও কি তার বাবা বা পরিবারের সবাই নিশ্চুপ? যদি বলি হ্যাঁ, তাহলে নিশ্চয় অবাক হবেন! কিন্তু যদি বলি যতটা না অবাক হয়েছেন একথা শুনে তারচেয়েও শতগুণ বেশি অবাক হয়েছে জুয়েলের পরিবারের সদস্যরা। কেননা জুয়েলের এই সাফল্য তাদের সবার কল্পনাকেই ছাড়িয়ে গেছে। তারা এটাই বিস্মিত যে এখনও তাদের মনে প্রশ্ন- একি স্বপ্ন, না বাস্তব?জুয়েলের বাবা জালাল উদ্দিন নির্মাণ শ্রমিক হলেও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। একমাত্র বোন শিউলী মাওনার এক গার্মেন্টস কর্মী বড় ভাই মেকানিক্যাল সহকারী। মূলত তারাই সংসারের ঘানি টেনে চলছেন। তার এক বোন তিন ভাইয়ের তৃতীয় জন জুয়েল পথ চলছেন সুরের টানে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে একদিন তার বাবা পুরোপরিবার নিয়ে গফরগাঁওয়ের ভিটেমাটি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন মাওনায়। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই জুয়েলের অভাবনীয় সাফল্য বদলে দেয় এই পরিবারের জীবন প্রবাহের গতি। এখন কথা হল মিজান মডেল একাডেমি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র জুয়েল পারিবারিক অনটনের মাঝে সঙ্গীতের পথে পা বাড়ালো কিভাবে? এটা অনেকটা গল্পের মতো। যখন থেকে জুয়েল চারপাশকে বুঝতে ও চিনতে শুরু করেছে, তখন থেকেই সঙ্গীতের প্রতি সে দুর্বল। ক্যাসেট প্লেয়ার, রেডিও কিংবা টিভি প্রচারিত যে কোন গান তুলে নিত নিজ কণ্ঠে। চেষ্টা করত হুবহু অনুকরণ করতে। এভাবেই পথ-প্রান্তরে চলত তার গানের রেওয়াজ। যা এলাকাবাসীর নজর কাড়তে খুব একটা সময় নেয়নি। যার সুবাদে এলাকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি একদিন আমন্ত্রণ পান শ্রীপুরের জীবন্ত স্বর্গ পিকনিক স্পটে গান গাওয়ার। সেদিন সেখানে পিকনিক করছিল ঢাকা, সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাংবাদিকরা। এদিন জুয়েলের গান শুনে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত সাংবাদিকরা, ‘এইটুকু ছেলে এমন অসাধারণ গান করে!!!’ এমন অজস প্রশংসা বাক্য বেরিয়ে আসে সাংবাদিকদের মুখ থেকে। শুধু তাই নয়, এগিয়ে আসেন দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক মীর লিয়াকত আলী। ‘জুয়েলের মতো প্রতিভাকে ঝরে যেতে দেবেন না’ এমন প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নেন জুয়েলকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার।জুয়েলকে ঢাকায় এনে শুরু তাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টায় কয়েক মাসের চেষ্টার পর অবশেষে পথ খুঁজে পান চ্যানেল আইয়ে এসে। কারণ সে সময় চ্যানেল আই প্রথমবারের মতো সঙ্গীতের ক্ষুদে প্রতিভা অন্বেষণের আয়োজন শুরু করেছে। ঢাকা অঞ্চলের শেষ দিনের শেষ প্রতিযোগী হিসেবে অডিশনের মঞ্চে ওঠে জুয়েল। প্রাণ খুলে ছড়িয়ে দেয় সুরের সুধা। এরপর? এরপর আর কি ঢাকা অঞ্চলের অডিশন পর্বে প্রথম স্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে পা রাখেন ক্ষুদে গানরাজের মূল মঞ্চে। তারপর ক্রমশই এগিয়ে চলা। জুয়েলের এই এগিয়ে চলার মাঝে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি এগিয়ে চলার প্রেরণা জোগান মীর লিয়াকত আলীসহ আরও দুই সাংবাদিক। বশির আহমেদ কাজল [দিনকাল] ও এমএ মালেক [আমার দেশ]। এদের প্রেরণায় ক্রমাগত জয় করে চলেন প্রতিযোগিতার দর্শকের মন। এরপর ধাঁপে ধাঁপে এগিয়ে এসে মাথায় পরেন বিজয়ীর মুকুট। এই হল জুয়েলের সাফল্যের গল্প। কোটি হূদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত এই গানরাজ বলেন, ‘আমার অনুভূতিটা কথায় প্রকাশ করতে পারব না। কেবল এটুকু বলতে পারি অসম্ভব ভালো লাগছে। পেশা হিসেবে সঙ্গীতকেই আঁকড়ে ধরতে চাই। কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখি। সে সঙ্গে চাই পড়াশোনার মধ্য দিয়ে দেশের একজন সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে।’-------------------------------------------আরও কিছু খবর-------------------------------------------ছেলেটা যখন গ্রামের বাড়ি থাকতো, লেখাপড়া করতো ময়মনসিং, মিজান মডেল একাডেমি এন্ড প্রিক্যাডেট স্কুলে। তখন বন্ধুরা, গ্রামবাসী এমনকি স্কুলের শিক্ষকরাও বুঝতে পারেননি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন অসাধারণ প্রতিভা। অবশ্য ছেলেটা বুঝতেও দেয়নি কাউকে। কিছুটা নীরবে-নিভৃতে গুনগুন করে নিজের অজান্তেই গাইতো গান। আর এই গুনগুনিয়ে গাওয়া গান সাধনাই যে তাকে সফলতার সুউচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে ভাবেওনি কখনো। বলছি মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের রাজ জুয়েলের কথা। জুয়েল যখন মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদ্রে গানরাজে নাম লিখায় তখনকার জুয়েল আর আজকের জুয়েলের মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ। ৮ মাস আগে শুরু হওয়া ক্ষুদে গানরাজের প্রতি পর্বেই ঘটতে থাকে নানা ঘটনা আর দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে ওরা জয় করে নেয় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত দর্শকের মন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দেয়ার মতোই ঘটনা ঘটালো জুয়েল। ক্ষুদে গানরাজের শেষ লড়াইয়ের আগের লড়াইতে বাদ পড়ে যায় জুয়েল। জুয়েলের বাদ পড়াকে মেনে নিতে পারেনি তার অসংখ্য ভক্ত দর্শক। দর্শকের রায়ের বাণে একনিমিষেই বিচারকের রায় ভেসে গেছে। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিচারকদের কাছ থেকে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলো। আজ আমি যে মহান পুরস্কারে ভূষিত হলাম এর জন্য এর পেছনে ৩ জন সাংবাদিকের অবদানই সবচেয়ে বেশি। আজ থেকে সঙ্গীত আমার প্রাণের সঙ্গে মিশে গেলো। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সঙ্গীতকেই আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর কাছে। তাদের দোয়া এবং ভালোবাসায়ই যেন আমাকে আজকের জুয়েলে পরিণত করেছে। ক্ষুদে গানরাজ হওয়ার পর এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলো জুয়েল। গত মঙ্গলবার গ্রামের বাড়ি পৌঁছায় জুয়েল সেখানে তাকে নিয়ে চলছে নানা আয়োজন। গ্রামবাসী যেন আনন্দে ফেটে পড়ছে তাদের গ্রামের গর্ব এই ক্ষুদে গানরাজকে দেখে। দূর-দূরান্ত থেকে তাকে এক নজর দেখার জন্য হাজারো মানুষ ভিড় জমায় তার বাড়িতে। তার বাড়ি এখন যেন হাজার মানুষের মিলনমেলা। ফুলে ফুলে সিক্ত হচ্ছে জুয়েলের বাড়ির উঠোন। এ যেন নতুন রাজ্য জয় করা এক নতুন রাজা। জীবনের হিসেব-নিকেশ উল্টে যাওয়া এ রাজা পুরস্কার হিসেবে অটবির সৌজন্যে পাচ্ছে নগদ ৫ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের সৌজন্যে ১০ বছরের লেখাপাড়ার যাবতীয় ব্যয়ভার। ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেড দিচ্ছে অভিভাবকসহ ৭ দিনের কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ। বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ দিচ্ছে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আবাসন সুবিধা ফ্রি লেখাপড়ার সুযোগ, গ্লোবাল কোম্পানি দিচ্ছে মিনি ল্যাপটপ কম্পিউটার। এ ছাড়াও পাচ্ছে এক বছরের জন্য বই খাতা পোশাক জুতা মোজাসহ যাবতীয় উপকরণ।এই ছোট বয়সে এতো বড় প্রাপ্তি যেন একটু বেশিই মনে করছেন অনেকে। তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও স্বীকার করছেন যে, ওদের আসলেই প্রতিভা আছে। আর ওদের এই প্রতিভা যেন সব সময়ের জন্য থাকে সেদিকে যেন বিশিষ্ট মহলের নজর থাকে। এটাই তার কাছে অসংখ্য ভক্ত দর্শকদের চাওয়া।
Tuesday, March 10, 2009
About them
Top 12২০ প্রতিযোগীর কচি মুখ, ছোট্ট বুক। কিন' ছোট্ট সেই বুকে সাহস অসীম। এখনই তাদের দক্ষতা যেন অসামান্য। নইলে তারা কেমন করে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ভুল ধরতে বসে থাকা গুণী শিল্পীদের সামনে এগিয়ে এসে বুক ফুলিয়ে যোগ্যতার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়? নম্বর কম দিতে চাওয়া বিচারকদের হাত কাঁপিয়ে দেয়? কেমন করে বিশ্বজোড়া কোটি কোটি দর্শকের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের প্রাণে তোলে সুরের ঝংকার? এদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রত্যেকের ক্ষুদে শরীরে রয়েছে অপার স্বপ্ন, জীবন অনেক দূর যাবার দৃঢ় প্রত্যয় তাদের চোখে-মুখে। অথচ এরা কেউ তাদের প্রতিভাকে ঝালিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে এক বছর কেউবা সর্বোচ্চ চার বছর। আসুন ক্ষুদে এই 12 জনের সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নিয়ে আসি।
গরিব ঘরের সন্তান জুয়েল রানা। তার পিতা মোঃ জালাল উদ্দিন একজন কৃষক আর মা মোছা: হালিমা খাতুন গৃহিনী। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি জুয়েলের ভীষণ আগ্রহ। কিন' কোন ওস্তাদের কাছে গান শেখার সুযোগ তার হয়ে ওঠেনি। মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের চতুর্থ রাউন্ডে উঠে আসা, এত চমৎকার করে গান করা তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব হলো জানতে চাইলে জুয়েল বলে, ‘আমরা খুব গরিব তো তাই কোন ওস্তাদের কাছে আমি গান শিখতে পারিনি। তবে বাবা আমাকে একটা ক্যাসেট প্লেয়ার কিনে দিয়েছিলেন। সেটা বাজিয়ে গান শুনতাম আর সুর মিলাতাম। এভাবে গাইতে শিখেছি। সেইসব গান এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাইতে গাইতে সবাই আমার নাম জেনে ফেলে। আমাদের এলাকার এক আঙ্কেল পত্রিকা দেখে এসে আমাকে ক্ষুদে গানরাজের কথা বলে। তারপর তিনিই আমার ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস'া করে দেন।’ জুয়েল রানা শ্রীপুর, গাজীপুরের মিজান মডেল একাডেমীর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। সে ক্ষুদে গানরাজ হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের আরেক প্রতিযোগী ঝুমা। ওর পুরো নাম ঝুম ঝুম আক্তার ঝুমা। মাতা মোসা: জেসমিন বেগম, পিতা মোঃ খুরশেদ আলম। ঝুমাও গাজীপুরের মেয়ে। সে বাস করে জয়দেবপুরের মধ্যপাড়ায়। সে সনাস অর্কেস্ট্রা একাডেমীতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ঝুমার বয়স ৯ বছর। ঝুমা সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ শুক্র, শনি আর রবিবারে গান শেখে। বাকি চারদিন মন দিয়ে লেখাপড়া করে বলে জানায়। ওর ওস্তাদের নাম স্বপন গোস্বামী। ঝুমা কেন গান করে জানতে চাইলে বলে ‘গান আমার ভালো লাগে। তাই গান শিখি, গান করি।’ ঝুমার ইচ্ছে অন্তত প্রথম তিনজনের মধ্যে সে থাকবে শেষ পর্যন্ত।
সাবরিনা আফরিন পড়শী থাকে ঢাকার উত্তরায়। সে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। যখন নার্সারিতে ভর্তি হয়েছিল সেই সময় থেকেই সে গান শিখতে শুরু করে নানুর কাছে। বর্তমানে গান শিখছে ওস্তাদ নিয়াজ মামুনের কাছে। গানের প্রতি তার ঝোঁক আসে মা জুলিয়া এহসানকে গাইতে দেখে। তখন সে অনেক ছোট। মাকে গান গাইতে দেখে ছোট্ট পড়শীর মনে স্বপ্ন তৈরি হয়- সে একদিন অনেক বড় শিল্পী হবে। মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ তার কাছে সেই স্বপ্নের সিঁড়ি। এই সিঁড়ির সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছুতে তাই সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
খান সদ্য সমুজ্জ্বল গান শিখেছে বাবা দেলোয়ার খান রনির কাছে। মিরপুরের শাহ আলী বেনারসি কুঠির ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট কেয়ার হোমেসদ্য চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সে নার্সারী থেকে গান শেখে। গানরাজ হতে চায় কি না জানতে চাইলে সদ্য বলে ‘চেষ্টা আছে, যতদূর যেতে পারি।
নোশিন তাবাস্সুম স্মরণ ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বগুড়ার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। মা শামীমা আরা সোমা আর বাবা মোঃ তারিকুল আলম লিখনের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই স্মরণ গান শেখে। বাবা মায়ের স্বপ্ন স্মরণ একদিন অনেক বড় শিল্পী হবে। অনেক বড় শিল্পী হওয়ার জন্য স্মরণ তাই সকালে, বিকালে, রাতে প্রতিদিন নিয়মিত গানের চর্চা করে। সে জানে অনেক চর্চা না করে গান শেখা যায় না, ভালো শিল্পী হওয়া যায় না। তাই তার চর্চার কখনো ঘাটতি হতে দেয় না সে। ওস্তাদ ইতি নিয়োগীর কাছে গান শেখে স্মরণ। তার লক্ষ্য অনেকদূর। তবে ক্ষুদে গানরাজ হতে পারাটাই তার বর্তমান লক্ষ্য।
ফুটবল খেলা ইমরান হোসেন খান তানভীরের খুবই পছন্দ। সে নিজেও খুব ভালো ফুটবল খেলে। সকালে রেওয়াজ, তারপর স্কুল, বিকালে খেলা, রাতে পড়া, পড়া শেষে আবার গানের রেওয়াজ। প্রতিদিনের রুটিন থেকে কোনটিই বাদ যায় না তার। মা লতিফা খানম খুব যত্ন করে ছেলের প্রতিটা বিষয়ে খেয়াল রাখেন। মায়ের কাছেই গান শেখে তানভীর। তানভীর মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের ষষ্ট শ্রেণীর ছাত্র। সে তার বাবা-মার আশা-আকাঙক্ষা পূরণ করবেই বলে জানায়, তার ভাষায়, ‘আমি প্রথম হব, অর্থাৎ ক্ষুদে গানরাজ হব।’
যদিও বাবা একজন গানের শিক্ষক কিন' ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না নিলয়ের। মায়ের আগ্রহে চতুর্থ শ্রেণী থেকে গান শিখতে শুরু করে সে। বাবা মাহবুবুল আলম ফিরোজের কাছেই গান শেখে সে। তার গানে উৎসাহ দেন মা হামিদা আক্তার। হামিম নিলয় টাঙ্গাইলের বিশ্বাস বেতকার সৃষ্টি একাডেমী স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। একসময় খেলাধুলা ছিল তার প্রিয় বিষয়। কিন' গত দুই বছরে গান এত আপন করে নিয়েছে যে, এখন খেলাধুলা গানের চেয়ে বেশি ভাল লাগে না। স্কুলের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় কাটে হোম ওয়ার্ক করতে আর অবসর পেলেই বসে যায় হারমোনিয়াম নিয়ে। ক্ষুদে গানরাজ হওয়ার ব্যাপারে নিলয় দারুণ আশাবাদী।
সাবাব হোসেন কবি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। তার গান শেখার বয়সও পাঁচ বছর। প্রতিদিন সকাল আর বিকালে নিয়ম করে ওস্তাদ মোহাম্মদ আজাদুর রহমান আজাদ ও ওস্তাদ বিমল চন্দ্র মিস্ত্রীর কাছে সে গান শেখে। মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে পেরে সে দারুণ আনন্দিত। কবি ক্ষুদে গানরাজ হতে চায়। না হতে পারলেও প্রথম দশের মধ্যে থাকতে পারলেই সে খুশি।
হবিগঞ্জের মেয়ে অলকা সূত্রধর। মা অর্চনা সূত্রধর আর বাবা প্রবোধ সূত্রধর তার জীবনের আদর্শ। তাদের ইচ্ছা এবং চেষ্টাতেই অলকার গান শেখা। ওস্তাদ স্বদেশ দাসের কাছে সে সব ধরণের গানের চর্চা করে আর লালন গীতির চর্চা করে ফরিদা পারভীনের কাছে। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী অলকা ক্ষুদে গানরাজ হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আশা খাতুন আশা আরেকটি নাম প্রাপ্ত হয়েছে মেরিডিয়ান-চ্যানেলআই ক্ষুদে গানরাজ অনুষ্ঠানে এসে। তার সেই নামটি হলো ছোট্ট পরী। পরীর মতো এই মেয়েটির হাতে যখন মাইক্রোফোনের মাউথপিস থাকে তখন তাকে দেখে মনে হয় সে যেন সেটির ভার বইতে পারবে না। কিন' সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাউথপিসের ভার তো সামান্য কথা কঠিন কঠিন গান নিয়ে অসাধারণ সুরের খেলায় সবাইকে মাতাল করে দেয় ছোট এই পরীটি। আশা সুজালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তার মায়ের নাম মোছাঃ আমেনা খাতুন, বাবার নাম মোঃ আবুল কাশেম। আশাকে নিয়ে তাদের অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন। কিন' আশার স্বপ্ন সে মঞ্চে গান গাইতে পারছে, পারবে এটুকুই। আশা দুই বছর ধরে গান শিখছে ওস্তাদ কাজী গোলাম আকবর আলী মিন্টুর কাছে।
শাহাবুদ্দীন সাজ্জাদ উদয় গান শিখবে, অনেক বড় নামী মানুষ হবে- তার মা শামিমা সুলতানা আর বাবা গোলাম সরোয়ার চেয়ারম্যানের ইচ্ছে। উদয় পড়াশুনা করছে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার চিতলা হাইস্কুলের প্রথম শ্রেণীতে। সে বলে ‘আমি আমার বাবা মাকে খুব ভালোবাসি। বাবা মায়ের ইচ্ছেতেই আমি গান করি সেই ক্লাস ওয়ান থেকে। বড় ভাইয়ের কাছে গানের হাতেখড়ি হলেও বর্তমানে ওস্তাদ শেখ আলাউল হক ও ওস্তাদ নান্টু সরকারের কাছে গান শিখছি। তাদের সবার ইচ্ছে পূরণ করতেই আমি ক্ষুদে গানরাজ হব।’
জারিন তাসনিম তুবা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। সে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের উদয় কিন্ডার গার্টেন স্কুলে পড়ে। গান গাইতে তুবার খুব ভালো লাগে তাই সে গান করে। যখন তুবা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে তখন থেকে সে গান শেখে ওস্তাদ বায়েজিদ হোসেনের কাছে। ক্ষুদে গানরাজ হবে বলে তার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। কারণ সে জানে যে, সে খুব ভালো গান করে। কেমন করে জানে- জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ‘কেনো, সবাই বলে আমি খুব ভালো গান করি।’
About the show
It's a reality show in Bangladesh for kids4-12 years old.The show started at may 2008 and it finished at february 2009.The grand finale was 13 february 2009.The winner is Jewel rana (11)
The 1st runner up is Jhumjhum Akhter Jhuma
The 2nd runner up is Sabrina afrin Porshi
There was 5 final contestants:
Jewel Rana
Jhumjhum akhter jhuma
sabrina afrin porshi
noshin tabassum Shorom
khan Shoddo somujjol
before chosing the 5 final contestant,they had top 12 contestants:
Jewel Rana
Jhumjhum akhter Jhuma
sabrina afrin Porshi
noshin tabassun Shoron
khan Shoddo somujjol
asha khatun Asha
Imran hossain khan tanvir
sahabuddin sajjad Udoy
Aloka sutrodhar
hamim Niloy
sabab hossain Kobi
Jarin tasnim Tuba
before top 12 they had top 20:
Jewel rana
jhumjhum akhter Jhuma
sabrina afrin Porshi
noshin tabassum Shoron
khan Saddo samujjol
Asha khatun
Aloka sutrdhor
Imran hossain khan
sahabuddin sajjad Udoy
hamim Niloy
sababa hossain Kobi
Dibboraj abir datto
sanjida nahar Bela
Anonna acharjo
Abhijit das arjun
Ishrat jahan Suchona
shekh Nafis muhtadi
Priya voumik
asif al raji Amlan
Jarin tasnim Tuba
Subscribe to:
Comments (Atom)